র্যাবের পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা: ঢাকার উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে র্যাবের পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যাতে র্যাবের জ্যাকেট পরা ব্যক্তিদের দেখা যায়। পরে ভুক্তভোগীদের ১৭ নম্বর সেক্টরে ফেলে যাওয়া হয়, চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায়।
এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করা যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রকৃত র্যাব সদস্য হলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজধানীতে সম্প্রতি চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়েছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও পূর্বের রাজনৈতিক প্রভাব এর জন্য দায়ী।
পূর্বের স্বৈরাচারী শাসনামলে পুলিশ ও র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। এখন র্যাব পুনরায় ভাবমর্যাদা ফিরে পেতে কাজ করছে।
উত্তরার এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় র্যাব জড়িত থাকলে তা প্রকাশ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। না থাকলেও অপরাধীদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে, সে জন্য সরকার ও বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।
উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের যে ঘটনা ঘটেছে, তা সাধারণ ঘটনা হিসেবে উপেক্ষা করার অবকাশ নেই। এর সঙ্গে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। একইভাবে তা র্যাবের ভাবমর্যাদার সঙ্গেও জড়িত। উল্লেখ করা যেতে পারে, র্যাবের ভাবমর্যাদা পুনপ্রতিষ্ঠার একটা চেষ্টা চলছে। অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, জঙ্গী নাটক মঞ্চায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে র্যাবের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। জনস্বার্থে র্যাবের ভূমিকা প্রশংসাও পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে র্যাব পরিচয়ে টাকা ছিনতাই কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য হতে পারে না। তাই র্যাবের পরিচয়ে যারা টাকা ছিনতাই করলো, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। পুলিশ এ ব্যাপারে কাজ করছে। তাকে তার মতো কাজ করতে দিতে হবে। র্যাবেরও বিষয়টি আমলে নিতে হবে। র্যাবের যে নেটওয়ার্ক আছে তাকে কাজে লাগাতে হবে। ছিনতাইকারীরা যদি র্যাবের লোক হয়, তা প্রকাশ করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আর যদি র্যাবের লোক না হয়, তাও প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ ও র্যাবকে মনে রাখতে হবে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। একে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা হতে পারে। বিভিন্ন মহল থেকেই হতে পারে। বিশেষ করে পতিত স্বৈরাচারের দোসর, যারা এখানো পুলিশ, প্রশাসন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অবস্থান করছে, আইনশৃংখলার অবনমনে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তাদের বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ, প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকে সতর্ক ও সাবধান হতে হবে। জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। যে কোনো মূল্যে আইনশৃংখলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।